নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের ষড়ঋতুর বাংলাদেশে কুয়াশার চাদর জড়িয়ে পৌষের আগমনী বারতায়, নিয়ন আলোর শহরে তেরে আসছে পৌষ পাগল শীতের তান্ডবতার অনুভব। একদিকে বিভিন্ন জেলা শহর ও গ্রাম-গঞ্জে শীতের কবলে মানুষ প্রচন্ড ভাবে কষ্ট করছে।
অন্যদিকে ষড়ঋতুর দেশ বলেই, শীতের আগমনে আছে বাহারী খাবার যা বলাইবাহুল্য, রকমারী মিঠাই-মন্ডা, পিঠা-পায়েস, ভাপা-পুলি, চিতই সহ হরেক রকমের পিঠার উৎসব। শীতের আগমনে জামাই আদর খেজুর রস, তালের গুর কত সমাদর তা অনুধাবন করার মত পৌষের হাড়কাঁপানো শীতে সাবলম্বী মানুষেরা পরিধান করে বাহারী পোষাক আষাক নবাবী শাল ইত্যাদি।
এই শীতের আগ্রাসনে পরে এক শ্রেণীর মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না, তারা হলেন বেশীর ভাগ হত দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ। বাহারী খাবার, বাহারী শাল-কম্বল মেলে না তাদের ভাগ্যে। তারা শীতের তান্ডব থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়ার নিমিত্তে ছুটে যায় সাবলম্বী মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে, উষ্ণতার আশায় শুধুমাত্র একটুকরো গরম কাপড় অথবা কম্বলের জন্য। আসুন সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের ঘরে শীত মোকাবেলার লক্ষ্যে সাধ্যমত উষ্ণতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মানবিক ফেরিওয়ালা হতে নুন্যতম চেষ্টা করি।