তিতাসের কর্মকর্তা (সাবেক) শেখ আমানুল্লাহর ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড়-

171
আমানুল্লাহ
তিতাসের কর্মকর্তা (সাবেক) শেখ আমানুল্লাহ

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ তিতাসের সাবেক কর্মকর্তা শেখ মোঃ আমানুল্লাহ চাকরীরত অবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকশত কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগ উঠেছে। ১৯৯৬ সালে ছিলেন গুলশান তিতাসের সুপারভাইজার।  সেসময় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পরবর্তীতে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতিতে বদলে যায় তার ভাগ্য। তিতাসের কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে ফাইল প্রতি ৬ হাজার টাকা করে নিতেন আমানুল্লাহ। গুলশানের বস্তিগুলোতে অবৈধ সংযোগে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। মিরপুর ১২ নম্বর চৌরঙ্গী থেকে ১০ নম্বর পানির ট্যাঙ্কি ভায়া   সেনপাড়া। এসব এলাকার বস্তি ঘরে জ্বালানি গ্যাসের সব অবৈধ সংযোগ দিয়েছেন গ্যাস বিপণনের দায়িত্বে থাকা শেখ মো: আমানুল্লাহ।

এভাবে অনিয়ম দুর্নিতীর মাধ্যমে রাজধানীতেই রয়েছে তার ৮টি বাড়ী।  তার অবৈধ আয়ের সম্পদের আংশিক বিবরণ- ১। হাউস নং কে/৩, এক্সটেনশন পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা। ২। হাউস নং ৭১/১ রোড নং ২০, রুপনগর আবাসিক এলাকা, মিরপুর, ঢাকা। ৩। হাউস নং ২৬, রোড নং ২০ , রুপনগর আবাসিক এলাকা, মিরপুর, ঢাকা। ৪। হাউস নং ০৭, ব্লক-ই, সেকশন-৭, আরামবাগ হাউজিং, রুপনগর, মিরপুর, ঢাকা। ৫। হাউস নং ২৩, রোড নং ০৪, রুপনগর আবাসিক এলাকা, মিরপুর, ঢাকা। ৬। হাউস নং ৪২, রোড নং ২২, রুপনগর আবাসিক এলাকা, মিরপুর, ঢাকা। ৭। রুপনগর শপিং কমপ্লেক্স রয়েছে নিজের ও পরিবারের নামে ফ্ল্যাট। ৮।  উত্তরার পূর্বাচলে রেয়ছে একাধিক প্লট। ৯। প্রায় ৬শত ভরিরও বেশি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। ১০। রয়েছে প্রাইভেকটকার- প্রিমিও ২০১৬ মডেল, ঢাকা মেট্রো-গ ৩২-১৮০৮ । ১১। সেনপাড়া পর্বতা, ওয়ার্ড নং ০৭, মিরপুর, রয়েছে দুটি প্লট যথাক্রমে ৪.১২ শতাংশ ও ৫.১৬ শতাংশ । ১২। নিজ এলাকা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নামে বে নামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের জমি। নিজ নামে বিভিন্ন ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে।

দুর্নীতিবাজ তিতাসের সাবেক কর্মকর্তা শেখ মোঃ আমানুল্লাহ’র আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের তদন্ত ও বিচার চেয়ে স্থানীয় শামিম আল হাসান নামের ব্যাক্তি গত ২১ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর অভিযোগ দায়ের দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসি বলেন, আমানুল্লাহ সাহেব তিতাসে চাকরি করার সময়ই তিনি গাড়ী বাড়ী করেছেন। ওনার যে কতটা বাড়ী আর কি পরিমান সম্পদ রয়েছে তা কেউ বলতে পারবে না। তিনি প্রচুর সম্পদের মালিক। দুর্নীতি ছাড়া এতো সম্পদ গড়া ওনার পক্ষে সম্ভব না।  তবে তদন্ত করলে হয়তো বেরিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে তিতাসের সাবেক কর্মকর্তা শেখ মোঃ আমানুল্লাহ’র নিকট জানতে চেয়ে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কলটি কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। শেখ আমানুল্লাহর দুর্নীতির পাহাড় উদঘাটনে বিস্তারিত লেখা প্রকাশিত হবে – ধারাবাহিক