নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদন বঞ্চিত ৭৩৯ জন প্রার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগের বাচ্চা আমরা NTRCA এর অধীনে ১৭তম নিবন্ধন প্রতীক ২৩ জানুয়ারি ২০২০ ইং প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করি। পরবর্তীতে করোনা মহামারী ও NTRCA এর দাপ্তরিক কারনে আমাদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে ০৪ (চার) বছর সময় অতিবাহিত হয়ে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে উত্তীর্ণ।
এমতাবস্থায় নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের নিমিত্তে NTRCA এম গণবিজ্ঞপ্তিতে আমাদের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে উক্ত সময় ক্ষেপন (যা ৭৩৯ জন আওতার বাইরে ছিল) এর বিষয়টি বিবেচনায় গ্রহণ করা হয়নি।
তারা বলেন, NTRCA ১ বছরের পরীক্ষা ৪ বছর সময় নিয়ে করার ফলে আমাদের ৩৫ উর্ধ্বে হওয়ার বিষয়ে তাদের দায় শিকার আবেদনের সুযোগ প্রদানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৪/০৩/২৪ ইং তারিখে প্রস্তাবনা পাঠায়। কিন্তু আবেদনের সুযোগ সৃষ্টি না করেই NTRCA ৩১ মার্চ ২০২৪ সালে এম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রায় এক লাখ পদের বিপরীতে মাত্র ২০ হাজার এনটিআরসিএ সুপারিশ করে।
সর্বশেষ এনটিআরসিএ করোনার প্রকৃত ভুক্তভোগী বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা ৩৫ উর্ধ্বেদের নিয়োগ দেওয়ার নজীর থাকায় আবার ৭ ই আগস্ট ২০২৪ সালে আমাদের নিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য পূনরায় প্রস্তাবনা পাঠালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আইনগত জটিলতা সাপেক্ষে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার সম্মতিক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ে ভোটিংয়ের জন্য পাঠায়। পরবর্তীতে আইন ও বিচার বিভাগের মতামত অনুবিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আবার এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ থেকে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ব্যাপারে রূপরেখা চায়। এনটিআরসিএ গত ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখের ৩৭,০৫,০০০০,০০৫.০৪.০০১.৩৩৫ সংখ্যক স্মারক কর্তৃক রুপরেখার উল্লেখ্য আছে যে ১৭ তম ব্যাচের কোন রিভিউ মামলা চলমান নাই। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে মর্মে সভামত প্রদান করে।
এছাড়া আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা ৫ এর ১০.০০.০০০০.১৩৫.৩৯.০৩৮/২০১৪ (রিট-২)-২৫ সংখ্যক স্মারকের মতামত ও উল্লেখ আছে যে, মাননীয় আপীল বিভাগের রায় অনুযায়ী, সনদের মেয়াদ ও বছর থাকা সাপেক্ষে করোণাকালীন বিষয়াদি বিবেচনায় নিয়ে ৩৫ বছর উর্ধ্বে প্রার্থীগণের ক্ষেত্রে কোন তারিখে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ নির্ধারিত হবে সে বিষয়ে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে মর্মে মতামত দিয়েছে।
এমনকি আইন ও বিচার বিভাগের মতামত অনুবিভাগ থেকে প্রাপ্য বিবেচ্যপত্রের ভাষা মতে এনটিআরসিও কর্তৃক প্রত্যেক গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের বয়সসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোন তারিখে সর্বোচ্চ বয়স গন্য করা হবে, তা কর্তৃপক্ষের যুক্তিযুক্ত বিবেচনার উপর নির্ভরশীল হয়েছে এবং বয়সের ছাড় দিয়েছে।
এসময় তারা দাবী তুলেন, ১৭ তম ব্যাচের কোন মামলা পেন্ডিং নাই বিধায় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত ও এনটিআরসিএ এর রুপরেখা সাপেক্ষে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা। এমনকি বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ১৭ তম ব্যাচের প্রার্থীদের ফাইল নিয়ে তালবাহানা চলবে না।
উল্লেখ্য যে, এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হতে হলে এমপিও নীতিমালা অনুসারে প্রার্থীদের বয়স থাকতে হবে ৩৫, মেয়াদ ৩ বছর। অথচ আমাদের সনদের মেয়াদ ৩ বছর থাকা সত্বেও একটিবারের জন্য আবেদন করতে পারিনি।
এনটিআরসি এর নীতিমালায় আছে ০১ এক বছরের মধ্যে একটি পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে কিন্তু ১৭ তম ব্যাচের ক্ষেত্রে এক বছরের পরীক্ষা চার বছরের বেশি সময় অতিবাহিত করে অর্থাৎ আমরা ২০২০ সালের সার্টিফিকেট ২০২৪ সালে পেয়েছি।