পাকিস্তানী রাজনীতিবিদের দেশ পরিচালনা – বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. মুহম্মদ ইদ্রিছ ভূইয়া

180
ছবি- সংগৃহীত
ছবি- সংগৃহীত

পাকিস্তানে রাজনীতিকদের  কখনোই বাধা বা শৃঙ্খলমুক্ত ভাবে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়নি ; কিন্তু বাংলাদেশে রাজনীতিকদের ৭১ সালের পর  খন্ড খন্ড ভাবে অনেক সময়  কোন বাধা ছাড়া  রাজনীতি  করতে দেয়া হয়েছিল।

পাকিস্তানের  ৫১টি সংগঠন বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে গনহত্যার জন্য ক্ষমা চেয়েছে যদিও রাষ্ট্রীয় ভাবে পাকিস্তান ক্ষমা চায় নি। কারন পাকিস্তানের রাজনীতি অধিকাংশ সময়েই সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত ছিল।

বেনজির ভূট্টো তার বাবা জুলফিকার আলী ভূট্টোর চেয়ে অনেক সদয় প্রকৃতির  ও মানবিক গুনের  অধিকারী ছিল। কিন্তু  প্রয়োজনের সময় তিনি তার ঘনিষ্ঠদের প্রতি কঠোর হতে পারতেন না। এটি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার দুর্বলতা ছিল। বেনজির ভূট্টো রাজনীতিবিদ হিসাবে যে নারীকে খুব পছন্দ করতেন, সেই মানুষটি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী মারগ্রেট থেচার। যার সরকার পরিচালনায় প্রয়োজনে কঠিন হতে কোন  সমস্যা  ছিল না।

২০০৭ সালের শেষ দিকে যখন আমি একটি ইংরেজি পত্রিকায় কুটনৈতিক প্রতিবেদকের কাজ করতাম। তখন বেনজীরের হত্যার ঘটনায় আমি শোকাভিভূত হয়েছিলাম। আমার কাছে  এটিকে মনে হয়েছিল একটি বিরাট সম্ভাবনার মৃত্যু।

কারন পাকিস্তানের এলিট শ্রেনীর সুবিধাবাদী অংশ যারা অর্থ হাতাতে এবং বিত্তবান  হতে  অস্থির থাকে তারা সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে দেখতে পছন্দ করে। তাই  বেনজিরের মৃত্যুর পর সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বেনজিরের নিন্দা ছড়াতে তৎপর হয়। ক্রমশ সেনাবাহিনীকে প্রকাশ্য বা গোপনে  ক্ষমতার পাশে থাকার পথ গুলি জায়েজ করে দেয় ।

যা এখনো  ধারাবাহিক ভাবে চলমান আছে এবং ইমরান খানের ক্ষমতা হারানো এটির  সর্বশেষ উদাহরণ।