আখাউড়া – লাকশাম লোকাল ট্টেন চাই।

48
আমরা ভৈরবের দক্ষিণ এলাকা বৃহত্তর কুমিল্লার মানুষ। 

ভৈরব – ঢাকা ৭৭ কি. মি রেলপথে নরসিংদী কমিউটার চালু হওয়ায় আমরা ভৈরববাসীর আনন্দে আনন্দিত, যেমন তিতাস কমিউটার চালুর সময় আনন্দিত হয়েছিলাম। এবার আখাউড়া – লাকশাম ৯৮ কি. মি রেলপথে গোমতী কমিউটার চালু আমাদের দাবী। যে ট্রেন সকালে উত্তর ছুয়ে দক্ষিণে যাবে এবং সন্ধায় দক্ষিণ ছুয়ে উত্তরে ছুটে আসবে। লোকাল প্যাসেন্জার নিয়ে।

আখাউড়া থেকে লাকশাম সেকশনে কুমিল্লার পথে ভোর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কোন লোকাল ট্টেন নেই। আবার ফিরতি পথে ২টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ট্রেন নেই। ফলে ষ্টেশন গুলি স্থবির, যাত্রীরা অসহায়। রাজনীতি স্থবির থাকায় জনস্বার্থে এনিয়ে জোরালো ভাবে কারো ভাবার নেই।

১৮৬২ সালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে সকল শ্রেনীর নাগরিকের যাতায়াতের জন্য চালু করেছিল। কিন্তু এখন আন্তনগর ট্রেন চলে এক বড় শহর থেকে আরেক বড় শহরে বিশেষ শ্রেনীর মানুষ নিয়ে। এখন লোকাল ট্টেনে   যারা শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে ছোট শহরে যাতায়াত করে তারা একেবারেই গুরুত্বহীন রেল যাত্রী ।

৭১ এর আগে প্রতিটি জংশন ষ্টেশনে লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা এক্সপ্রেস বা মেইল ট্রেন ধরত। এইটি ছিল কানেক্টিং যাত্রী ব্যবস্থা।

এক্সপ্রেস ট্রেন যত্রতত্র বিরতি দেয়ার কথা তখন জনগন বলতো না। এখন যেখানে প্রভাব আছে সেখানেই  বিরতি। কিছু লোকের সুবিধা হলেও অধিকাংশ দুরযাত্রীর জন্য বিরক্তিকর। রেলের ইঞ্জিন সমস্যা আছে পুরাতন  ইঞ্জিন দিয়ে আন্তনগর চালানো সম্ভব না। তবে মেরামত করে লোকাল ট্টেন চালাতে পারে।

আখাউড়া থেকে কুমিল্লা হয়ে লাকশাম সেকশনে রেল সড়ক স্থাপনের পর থেকে লোকাল যাত্রীদের প্রতি এতটা অবহেলার নজির নেই। ভোর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ে কোন লোকাল ট্টেন নেই। আবার দুপুর ২টা পর ভোর পর্যন্ত আখাউড়া অভিমুখীক কোন লোকাল ট্রেন নেই। ফলে ষ্টেশন গুলি স্থবির, যাত্রীরা অসহায়। বিবেচনাপ্রসূত মানুষ আন্তনগর ট্টেনের যত্রতত্র বিরতি চায় না। লোকাল ট্টেনে ছোট খাট স্টেশন পৌঁছাতে চায়।  যা অন্তত পুরাতন ইঞ্জিন মেরামত করেও চালানো যেতে পারে।

১৮৬২ সালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে সকল শ্রেনীর নাগরিকের যাতায়াতের জন্য ট্রেন চালু হয়েছিল। যাদের এলাকা দিয়ে রেল লাইন নির্মান করা হয়েছে তাদের যাতায়াতের সুবিধা গুরুত্ব সহকারে দেখা হতো। এখন সব পাল্টে গেছে। এখন আন্তনগর ট্রেন চলে এক বড় শহর থেকে আরেক বড় শহরে বিশেষ শ্রেনীর মানুষ নিয়ে।  এখন লোকাল ট্টেনে যারা শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে ছোট শহরে যাতায়াত করে তারা নিতান্তই গুরুত্বহীন রেল যাত্রী।

৭১ এর আগে প্রতিটি জংশন ষ্টেশনে লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা এক্সপ্রেস বা মেইল ট্রেন ধরার কানেক্টিং ব্যবস্থা ছিল।

এক্সপ্রেস  ট্রেন যত্রতত্র বিরতি দেয়ার কথা তখনকার বিবেকবান মানুষগুলো বলতো না। এখন যেখানে প্রভাব  আছে সেখানেই বিরতি। কিছু লোকের সুবিধা হলেও অধিকাংশ দুরযাত্রীর জন্য সময়ক্ষেপণ ও মহা বিরক্তিকর। রেলের ইঞ্জিন সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জনগন অসচেতন নয়। তাই কর্তাব্যক্তিদের অনুরোধ করছি  দয়াকরে সকালে আখাউড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার একটি লোকাল ট্টেন চালু করেন।

বীরমুক্তিযোদ্ধা ড.মুহম্মদ ইদ্রিছ ভূইয়া, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।