
অনলাইন ডেস্কঃ নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রাথমিকভাবে যেসব জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেসব স্থানে পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশীদ জানান, পরীক্ষার এই প্রক্রিয়া আবার চালু করার প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার জন্য কিট সংগ্রহে স্থানীয় উৎসের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রথম ধাপে যেসব হাসপাতালে এই পরীক্ষা চালু করা হবে তার মধ্যে রয়েছে—ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহের বিভাগীয় হাসপাতালগুলো। পরীক্ষার সুযোগ পাবে শুধুমাত্র উপসর্গযুক্ত রোগীরা। সংক্রমণের হার বাড়লে পরীক্ষার পরিধিও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনার নতুন ধরন ছড়াতে শুরু করায় রাজধানী ঢাকায় উদ্বেগ বাড়ছে। ঈদের ছুটির সময়ে ঢাকায় সংক্রমণের হার তুলনামূলক বেশি। ছুটি শেষে রাজধানীতে জনসমাগম বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এতে সংক্রমণের হার আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের সবাই ঢাকার বাসিন্দা। যদিও কেউ মারা যাননি, তবে সংক্রমণের হার বেশ উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে।
জনসাধারণকে সতর্ক করে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে—মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়ার অভ্যাস এবং উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে অবস্থান করার পরামর্শ মেনে চললে সংক্রমণ অনেকটা রোধ করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ এবং ১৮ মার্চ হয় প্রথম মৃত্যু। বর্তমানে আক্রান্তদের মোট সুস্থতার সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৮ জনে পৌঁছেছে। সূত্রঃ বাসস