
শরীয়তপুর সংবাদদাতাঃ শুক্রবার (১৩ জুন) বিকাল ৪ টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা রাজধানীর কাকরাইলের অরোরা স্পেলাইজড হাসপাতালে টানা ৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত ইয়াসিনের কাকা সিদ্দিক মৃধা।
নিহত ইয়াসিন আহমেদ ফারদিন ভেদরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হানিফ মৃধার ছেলে ও স্থানীয় গৈড্যা এম এস ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এবার এসএসসি পরিক্ষার্থী সে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধা ৭ টার টার দিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ছাত্রদলের একটি গ্রুপ রামদা নিয়ে হামলা চালায়।
এসময় সংঘর্ষে লাঠিসোঁটা, রড এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাকিম, কনস্টেবল জাহিদ, ছাত্রদল নেতা পন্নী কাজি, এনাম, সোহান, লিখন বেপারী, মবিন ও ইয়াসিন সহ অন্তত ১০ জন গুরুত্বর আহত হন।

ঘটনার পরদিন ঈদের দিন ইয়াসমন মৃধা বমি করতে থাকলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় অরোরা স্পেলাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৬ দিন চিকিৎসা শেষে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ইয়াসিনের কাকা সিদ্দিক মৃধা বলেন, ইয়াসিন মাদরাসায় পড়াশোনা করে। ও রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। যারা পরিকল্পিতভাবে ইয়াসিনকে হত্যা করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা প্রসাশনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ আহম্মেদ সেলিম বলেন,” গত বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এই সংঘর্ষ হয়েছে। শুনেছি ঢাকায় চিকিৎসাধীন নিহতের স্বজনদের মধ্যমে জানতে পারি ইয়াছিন আহমেদ ফারদিন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।