অনলাইন ডেস্কঃ ঈদুল আজহার ছুটিতে বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাস কিছুটা স্বস্তিদায়ক ছিল। কিন্তু ছুটির পর শুকনো আবহাওয়া ও মানুষের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় আবারও বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।
আজ রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, দূষণের দিক থেকে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে আবারও শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। এ সময় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ১৪২, যা সংবেদনশীল মানুষের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে ধরা হয়।
এই সময়ে ১৫৩ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল ইন্দোনেশিয়ার মেদান। ঢাকার পরের অবস্থানে ছিল দুবাই (১২৬) ও কায়রো (১২৪)।
একিউআই স্কোর অনুযায়ী, ০-৫০ এর মধ্যে থাকলে বাতাসকে ‘ভালো’ ধরা হয়, ৫১-১০০ হলে ‘মধ্যম’, ১০১-১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। ১৫১-২০০ হলে সাধারণ মানুষের জন্যও ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশে বাতাসের মান নির্ধারণ করা হয় মূলত পাঁচ ধরনের দূষণ উপাদানের ভিত্তিতে: পিএম১০ ও পিএম২.৫ (বস্তুকণা), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (CO), সালফার ডাই-অক্সাইড (SO₂) ও ওজোন।
ঢাকায় বছরের বেশিরভাগ সময়ই বায়ুদূষণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে থাকে, বিশেষ করে শীতকালে। বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে বাতাস কিছুটা পরিষ্কার থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মৃত্যু ঘটে স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের কারণে। সূত্রঃ ইউএনবি