স্বৈরাচারী সরকার তরুণদের ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নিয়েছিল: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

104
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা সজীব মাহমুদ আসিফ ভূইয়া। ছবি- পিআইডি

অনলাইন ডেস্কঃ তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসনের সময়ে দেশের তরুণ প্রজন্ম তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হারিয়েছিল এবং তাদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রাজধানীর এক হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘কমনওয়েলথ চার্টার যুব কর্মশালা’-তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অতীতের অগণতান্ত্রিক শাসনকাল অনেক পরিবারকে গভীরভাবে আঘাত করেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, ও নির্বাচন ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ ছিল সেই সময়ের বাস্তবতা। অনেক তরুণ কখনোই একটি অবাধ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়নি— তাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, “তবুও তরুণরাই ছিল আলো বহনকারীরা, যারা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে এবং পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম করেছে। তাদের আত্মত্যাগেই স্বৈরাচারী যুগের অবসান ঘটেছে।”

বর্তমান সরকারের অবস্থান তুলে ধরে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, “শুধু সরকার পরিবর্তনই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন কাঠামোগত সংস্কার। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নানা গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছি। বিভিন্ন কমিশনের মাধ্যমে পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তার ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি যেখানে মানুষের অধিকার, স্বাধীনতা ও সম্মান অটুট থাকবে। এ কাজ একা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়— তরুণ সমাজসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।”

কমনওয়েলথের আদর্শ সম্পর্কে তিনি বলেন, “কমনওয়েলথ চার্টার কেবল একটি দলিল নয়, এটি একটি নৈতিক নির্দেশনা— যা আইন, উন্নয়ন ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দেয়। এসব নীতি বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেসি। তিনি বলেন, “আপনার আজকের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে আগামী দশকের আপনার অবস্থান। তাই এমন কাজ করুন যা আপনার নিজের ও দেশের জন্য গর্বের হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ও বিশ্ব দুটোই দ্রুত বদলাচ্ছে। এ পরিবর্তনের পথরেখা নির্ধারণ করছে তরুণরাই। আমাদের উচিত সম্মিলিতভাবে কাজ করে গণতন্ত্রকে আরও দৃঢ় করা, শাসন ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা বাড়ানো এবং একটি মানবিক সমাজ গড়ে তোলা।” সূত্রঃ বাসস