শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান: মিলেছে অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রমাণ

43
ছবি- সংগৃহীত

বিশেষ প্রতিনিধি শরীয়তপুর: নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে। রোগীদের কাছ থেকে অর্থ দাবি, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৪ জুন)  শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে দুদক অভিযান চালিয়ে অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

দুদকের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বুলবুলের নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে অভিযান চালান। এ অভিযানে দুদকের কর্মকর্তারা হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন।

গণমাধ্যমকে দুদক জানায়, হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাইয়ুম একজন রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসা দেওয়ার শর্তে নগদ টাকা দাবি করেন। তদন্তে ওই রোগীর কাছ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা গ্রহণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে, যা সরকারি চিকিৎসা নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে সক্রিয় দালাল চক্র সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া গেছে। দালালদের একটি প্রাথমিক তালিকা হাতে পেয়েছে দুদক, যাদের মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায় ও ভোগান্তি বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও অভিযানে বেরিয়ে আসে রোগীদের খাদ্য সেবায় অনিয়মের চিত্র। রান্নাঘর ঘুরে দেখা যায় রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত মিনিকেট চালের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে কম মূল্যের মোটা চাল। যা একদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে, অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত বরাদ্দ অপব্যবহার হচ্ছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বুলবুল বলেন, “অভিযানের সময় সরাসরি এক রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসকের টাকা দাবি করার অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি। এছাড়াও সরকারি বরাদ্দের মিনিকেট চালের পরিবর্তে কম মানের চাল ব্যবহারের বিষয়েও প্রমাণ মিলেছে। হাসপাতালের দালালদের তালিকাও সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।