আজ থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

108
ছবি- সংগৃহীত।

প্রধান প্রতিবেদকঃ সারা দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা।

পরীক্ষার সময়সূচি কেন্দ্রভিত্তিক বিবরণ
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ১০টায় এবং শেষ হয় দুপুর ১টায়। আজ সাধারণ ৯টি বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৬০৫টি কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। মাদরাসা বোর্ডে আলিম শ্রেণির কোরআন মাজিদ বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে ৪৫৯টি কেন্দ্রে এবং কারিগরি বোর্ডের আওতায় ৭৩৩ কেন্দ্রে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পরীক্ষার সময়কাল
তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত, এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ১১ আগস্ট থেকে, শেষ হবে ২৪ আগস্ট।

পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পরিবর্তন
গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজারের বেশি।

গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

  • পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর প্রবেশ করলে পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে বোর্ডকে জানাতে হবে।
  • কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরীক্ষার শুরুতে বিলম্ব হলে, বিলম্বের সময় পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া হবে।
  • মোবাইল ফোনসহ যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে নিষিদ্ধ।
  • নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

নিরাপত্তা মনিটরিং ব্যবস্থা
পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নিরাপদ রাখতে জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
সাইবার অপরাধ রোধে হটলাইন নম্বর (০১৩২০০১০১৪৮) চালু রয়েছে এবং পরীক্ষাসংশ্লিষ্টদের সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে:

  • কেন্দ্রে ঢোকার সময় সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
  • প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
  • ডেঙ্গু প্রতিরোধে কেন্দ্রের ভেতর ও আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং মশা নিধনের জন্য স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।
  • প্রতিটি কেন্দ্রে একটি সক্রিয় মেডিকেল টিম রাখতে হবে এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় থাকতে হবে।
  • অভিভাবকদের কেন্দ্রে জটলা না করার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রচারণা চালাতে হবে। সূত্রঃ ইউএনবি