অব্যাহত টানা বৃষ্টিতে উত্তরা এয়ারপোর্ট সরকে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা

80

ইখতিয়ার হোসেন রিপন বিশেষ প্রতিনিধিঃ অব্যাহত টানা বৃষ্টিতে উত্তরা এয়ারপোর্ট সড়কে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা‌

গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে উত্তরা বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা, এতে করে ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষজন। গার্মেন্টস শ্রমিক, নির্মাণশ্রমিক, রিকশাচালক, ও ফুটপাতের দোকানিরা একেবারে বিপাকে।

অবিরাম বৃষ্টির কারণে অনেকে ঘর থেকে বের হতেও পারছেন না। যাদের জীবিকা দিনমজুরির ওপর নির্ভরশীল, দিন এনে দিন খাওয়া যাদের নিয়ম, তারা সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত।

বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর হতেই অনেকেই কাজের খোঁজে বের হলেও টানা বৃষ্টির কারণে অনেকে কাজে যেতে পারেননি।

এ অবস্থায় যাদের জরুরি প্রয়োজন, তারা ছাতা মাথায়, কেউবা রেইনকোট পরে আবার কেউ ভিজেই রওনা দিয়েছেন গন্তব্যের দিকে। তবে নির্মাণশ্রমিকদের অনেকে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

নির্মাণশ্রমিক মিজান সিএনএস২৪নিউজডটকমকে জানান, আমরা চারজন সকালে কাজে গিয়েছিলাম, কিন্তু বৃষ্টির কারণে বাড়ির মালিক কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সকালে একটু বৃষ্টি কম ছিল, তাই গিয়েছিলাম, কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি বেড়ে যায়। এখন আর কাজ হচ্ছে না, তাই ফিরে যাচ্ছি।

টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে রিকশা চালক আব্দুল্লাহ সিএনএস২৪নিউজডটকমকে বলেন, গত ২–৩ দিন ধরে বৃষ্টির কারণে যাত্রী কমে গেছে। বৃষ্টিতে মানুষ রিকশায় উঠতে চায় না। ইনকাম অনেক কমে গেছে। যা পাই, তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার মালিককে টাকা জমা দিয়ে হাতে কিছুই থাকছে না। এইভাবে চলতে থাকলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে যাবে।

উত্তরা জসিম উদ্দিন এলাকার ফুটপাতের দোকানদার আব্দুর রহিম জানান, বৃষ্টির কারণে ঠিকভাবে দোকান খুলতে পারছি না। একটু বৃষ্টি থামলে দোকান খুলি, আবার বৃষ্টি এলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখি। ক্রেতাও কমে গেছে, সবাই এখন মার্কেটের দিকে চলে যাচ্ছে। এভাবে বৃষ্টি পড়তেই থাকলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাবে।