গোসাইরহাটে চাঁদাবাজদের হামলায় ৪ এইচ এস সি পরীক্ষার্থী আহত

37
আহত এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফজিলাতুন্নেছা পুষ্প।
শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে চাঁদাবাজদের হামলায় ৪ এইচএসসি পরীক্ষার্থী আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ১২ টার দিকে গোসাইরহাট থানার ওসি মাকসুদ আলম শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছে।
দোষীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শরীয়তপুরের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শরীয়তপুরের ডামুড্যা সরকারি কলেজের চার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফজিলাতুন্নেছা পুষ্প, রানিয়া, সোহাগা ও স্মৃতি ডামুড্যা থেকে ফয়সাল দেওয়ানের অটোরিক্সায় করে গোসাইরহাট সরকারি সামসুর রহমান কলেজে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।

এসময় গোসাইরহাট বাসস্ট্যান্ড আসলে লাইনম্যান পরিচয়ে অটো থেকে ১০ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভিড়ের কারণে চাঁদা দিতে না পারায় অটোরিক্সা ভাঙচুর করে চাঁদাবাজরা। এসময় চাঁদাবাজদের হামলায় অটোতে থাকা পুষ্প নামে এক শিক্ষার্থীর চোঁখে অটোরিক্সার ভাঙা কাঁচের টুকরো ঢুকে যায়। অটোতে থাকা আরও তিনজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী মারাত্মক আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে পুষ্পরসহ পরীক্ষার্থীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনা জানাজানি হলে পুরো শরীয়তপুরের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

আহত পুস্পর মা সাজেদা বেগম বলেন, ‘চাঁদার জন্য আমার মেয়েসহ অন্য আরও ৩ জন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই হামলাকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

গোসাইরহাট থানার ওসি মাকসুদ আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পরে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’