“একটি বিষয়ে তিনটি অফিস” আর কতকাল

106

ভূমি নিয়ে এত অফিস কেন?

জমি রেজিষ্ট্রেশন,নামজারী ও জরিপ আসলে এক দফতরের কাজ, ভূমি হস্তান্তর, (বিক্রয়, দান,হেবা ইত্যাদি) নামজারি এবং জরিপ একটি কর্তৃপক্ষের অধীনে আনা প্রয়োজন। এটি ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত ও স্বচ্ছ করতে সহায়ক হবে। তাই এটি সময়ের দাবী।

বর্তমানে, ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন কার্যক্রম বিভিন্ন দফতর ও কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। যেমন- ভূমি হস্তান্তর হয় *সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে, *নামজারি হয় সহকারী কমিশনার ভূমি ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এবং *জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হয় জরিপ অধিদপ্তর থেকে সেটেলমেন্ট অফিসে। এই বিভিন্নতা ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকার কারণে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়হীনতা বিদ্যমান। যা জনসাধারণকে হয়রানির শিকার করে।

একটি একক কর্তৃপক্ষের অধীনে ভূমি বিষয়ক সকল কার্যক্রম পরিচালিত হলে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সহজ হবে।

সমন্বিত ভূমি ব্যবস্থাপনা:ভূমি হস্তান্তর, নামজারি, এবং জরিপ কার্যক্রম একটি সমন্বিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে, যা ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আরও কার্যকর করবে।

জনগণের হয়রানি কমবে:বিভিন্ন দফতরে ঘুরে ভূমি বিষয়ক কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিবর্তে, একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সহজেই সকল কাজ সম্পন্ন করা যাবে।

ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ কমে যাবে। ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতেও সুবিধা হবে, কারণ সবকিছু একটি কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকায় তথ্যের অভাব বা ভুল বোঝাবুঝি কম হবে।

একটি কর্তৃপক্ষের অধীনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমি ব্যবস্থাপনা আরও আধুনিক ও উন্নত করা সম্ভব হবে। ভূমির দেখবাল ও যাবতীয় কাজ সার্বিকভাবে ভূমি মন্ত্রনালয়ের, কিন্তু জমির দলিলের দায়িত্বে সাব রেজিস্টারকে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখা হয়েছে, এটি আরেকটি অদ্ভুত অস্বাভাবিক বিষয় যা জনগনকে বিস্মিত করে তোলে।

এসব কারণে, ভূমি হস্তান্তর, নামজারি, এবং জরিপ একটি কর্তৃপক্ষের অধীনে আনা সময়ের দাবি।

লেখক
বীরমুক্তিযোদ্ধা ড.মুহম্মদ ইদ্রিছ ভূইয়া