মধুখালীর রাজন হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।

284
ছবি - সংগৃহীত

ছবি মো:সামাদ খান ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালীর রাজন হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।

ফরিদপুরের মধুখালীতে শাহ মো. রাজন (২৮) হত্যায় জড়িত মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ রায়ের সঙ্গে তাদের বিশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া অন্য একটি ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।‌

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে এ মামলার রায় দেন ফরিদপুরের জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ, ২য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চারজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

তারা হলেন, মধুখালী উপজেলার মো. আরমান হোসেন, মির্জা মাজহারুল ইসলাম মিলন, মো. মামুন শেখ, মো. আছাদ শেখ (পলাতক) ও মো. ইলিয়াছ মৃধা। এদের মধ্যে এক আসামি মো. আছাদ শেখ পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শাহ মো. রাজন গত ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বিকেলে মধুখালীর নিজ বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। ওইদিন বিকেলে আসামিরা তার ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেলটি মধুমতি নদীতে ফেলে দেন।

এরপর কুড়ানিয়ার চর এলাকার স্থানীয় সিদ্দিক মাস্টারের বাগানে নিয়ে রাজনকে কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং একাধিক খুনের মামলার আসামি মির্জা মাজহারুল ইসলাম মিলনের নির্দেশে আছাদ মোল্যা ও মামুন শেখসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহ ওই বাগানের ভিতর থাকা পুকুরের পূর্ব পাড়ের চালায় মাটির নিচে চাপা দিয়ে রাখে।

আসামি আরমানকে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে থানা পুলিশ তার দেখানো মতে গত ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল সকালে উক্ত স্থানে মাটি খুঁড়ে রাজনের মরদেহ উত্তোলন করে। ৩ এপ্রিল তার মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মধুখালীর শাহ মো. রাজন হত্যায় জড়িত পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিকে রাজনের পরিবার দাবি করে বলেন আমরা এই রায় সন্তুষ্ট না , আমরা মির্জা মিলন সহ দোষিদরে ফাসি চাই, এবং আমরা উচ্চ আদালতে এই রায়রে বিরুদ্ধে ফাসির জন্য আবেদন করবো