জাজিরায় পদ্মার ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং

128
ছবি- সিএনএস
শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা সেতুর কন্সট্রাকশন ডর্ক ইয়ার্ড সংলগ্ন সাত্তার মাদবর ঘাট এলাকায় পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধের অন্তত ২৫০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ২০টি দোকানপাট ও আশেপাশের ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন রোধে সোমবার (৮ জুলাই) থেকেই জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিং কার্যক্রম শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক হাসান এই কার্যক্রমের তদারকি করছেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী দেওয়ান রকিবুল হাসান বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড সংলগ্ন সাত্তার মাদবর ঘাট এলাকায় অন্তত ১৩০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনরোধে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে ওই স্থানে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। এই বাধটি প্রায় ১২ বছর আগে বিবিএ কর্তৃক নির্মাণ করা হয়েছিলো। বর্তমানে পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোত, টানা বর্ষণ ও নদীর মরফোলজিক্যাল পরিবর্তনের কারণে এই ভাঙন হতে পারে।
‘শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাজিরার পদ্মা সেতু ল্যান্ডিং পয়েন্ট থেকে মাঝিরঘাট হয়ে পূর্ব নাওডোবা আলমখার কান্দি জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড বাঁধ নির্মাণ করে সেতু কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৩ নভেম্বর মাঝিরঘাট জিরো পয়েন্ট এলাকায় বাঁধটির প্রায় ১০০ মিটার ধসে পড়ে। এ বছর বাঁধটির সংস্কারে দায়িত্ব দেওয়া হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই স্থানে বালুভর্তি জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলার কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর আগে ঈদুল আজহার দিন ভোরে সংস্কার করা বাঁধের ১০০ মিটার অংশসহ পাশের আরও একটি স্থানে ভাঙন শুরু হয়। তখন এক দিনের মধ্যে বাঁধের আড়াইশ মিটার অংশ নদীর পানিতে তলিয়ে যায়।

 

বর্তমানে একটানা বৃষ্টি ও নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে এ রকম ভাঙন শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ভাঙন আতঙ্কে লোকজন তাঁদের বাড়িঘর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড তৎপর রয়েছে।