নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও জননেতা কমরেড আবু হাসান টিপু বলেছেন, নির্বাচনে যেসব রাজনৈতিক দলের অধিকাংশ প্রার্থী জামানত হারানোর আশঙ্কায় রয়েছে, তারাই বিচার ও সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, “সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এর শুরু আছে, কিন্তু শেষ নেই। বিচারও একদিনে সম্পন্ন হওয়ার বিষয় নয়, বিশেষ করে গণহত্যার মতো স্পর্শকাতর মামলাগুলো। তড়িঘড়ি করলে এসব মামলার রায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।”
বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জে নবনির্মিত ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে’ পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হাসান টিপু আরও বলেন, “নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়া জনগণের সামনে দৃশ্যমান করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায়। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের খুনি শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী মন্ত্রী-এমপি, পুলিশ, স্থানীয় কেডারদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। একই সঙ্গে, সরকারকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ও শ্রমিকনেতা মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, “বছর ঘুরতে না ঘুরতেই গোপালগঞ্জে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ। যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে হাজারো মানুষ জীবন দিয়েছে, সেই জুলাই মাসেই ছাত্রলীগ গণ-অভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এটি পরাজিত ফ্যাসিবাদের চরম ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিকনেতা সহিদুল আলম নাননু, সাইফুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, সুমন হাওলাদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সংগ্রাম আজও চলমান এবং তা আরও তীব্রতর হবে।