জামায়াতের মহাসমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপচে পড়া ভিড়

58
ছবি- ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

মোঃ গোলাম রাজীবঃ আজ শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় মহাসমাবেশ’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশ শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল দুপুর ২টা, তবে তার অনেক আগেই উদ্যানে জমায়েত হয়ে যায় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

ছবি- সংগৃহীত

সকালে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল সহকারে ঢাকায় পৌঁছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা। অনেকেই মাথায় কাপড় বেঁধে, দলের পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল করেছেন। কারও পরনে ছিল জামায়াতের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা খচিত টি-শার্ট।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত থেকেই অনেকে ঢাকায় আসতে শুরু করেন। ভোর হতেই বিভিন্ন সড়কপথ ও প্রবেশপথ দিয়ে মিছিল আকারে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন তারা। পুরো উদ্যান স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে।

এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। বক্তব্য রাখবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও।

জামায়াত নেতাদের দাবি, দলটির ঘোষিত সাত দফা দাবির পক্ষে জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ আয়োজন। তারা এটিকে ইতিহাসে জামায়াতের প্রথম একক বৃহৎ সমাবেশ বলে উল্লেখ করেছেন। এর আগে তারা বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে কিছু সমাবেশে অংশ নিয়েছিল।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সম্প্রতি গোপালগঞ্জের একটি সমাবেশে হামলার ঘটনায় উত্তেজনা চলমান রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই জামায়াত এই মহাসমাবেশ আয়োজন করেছে বলে জানা গেছে।

সমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগম নিশ্চিত করতে জামায়াত সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের আনতে রেল, সড়ক ও নৌপথে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছেন, প্রায় ১০ হাজার বাস, চারটি বিশেষ ট্রেন এবং কয়েকটি লঞ্চ ভাড়া করা হয়েছে এই উপলক্ষে।

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই মহাসমাবেশ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হবে। ১০ লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতির আশা করছি। শুধু দলীয় কর্মী নয়, সাধারণ মানুষও যোগ দিচ্ছেন যারা বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে পরিবর্তন চান।”