উত্তরার দিয়াবাড়িতে মানববন্ধন ও কাফন মিছিল

124

ইখতিয়ার হোসেন রিপন বিশেষ প্রতিনিধিঃ রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ
বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণকালীন বিধ্বস্ত হয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।

মানববন্ধন ছবি – সিএনএস 

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০ টার সময় উত্তরার দিয়াবাড়িতে মানববন্ধন ও কাফন মিছিল করেন। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতসহ সারাদেশে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের দাবি তুলে ৮ দফা প্রস্তাব দেন।

মানববন্ধনে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনার পর থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। বরং ২০ দিন পর তাদের ডেকে স্কুলের পক্ষে স্বাক্ষর নিতে চাওয়া হয়। তারা আরও জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও বহিরাগতরা তাদের হুমকি দিচ্ছে, মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক স্কুলে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, মাইলস্টোন স্কুল শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে বাধ্য করছে, যা থেকে অধ্যক্ষ নূরনবী ও প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তারসহ কয়েকজন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। নিহত শিক্ষার্থী সায়মার বাবাকে শিক্ষক নোমান লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে।

দাবিগুলো হলো:
১. দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
২. দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা।
৩. সরকারের পক্ষ থেকে নিহত ও আহতদের পরিবারকে যথাক্রমে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
৪. স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিহতদের পরিবারকে ২ কোটি ও আহতদের ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করা।
৫. রানওয়ে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরানো বা রানওয়ে স্থানান্তর করা।
৬. অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তারকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ।
৭. স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উন্মুক্ত করা।
৮. বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ জনবসতিহীন স্থানে নেওয়া।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজেআই যুদ্ধ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মাথায় ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।

মাইলস্টোন স্কুলের হায়দার আলী ভবনে বিধ্বস্ত হয়ে ৩৫ জন শিক্ষার্থী নিহত হন।