সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী হত্যার পেছনে ‘গোপন সাইফার বার্তা’র অভিযোগ

26

প্রধান প্রতিবেদক: প্রায় এক দশক আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বিএনপির শীর্ষ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর। পরিবারের দাবি, এ রায় ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করার অংশ।

লিখিত বক্তব্যের ছায়া কপি।

পরিবারের অভিযোগ, বিচার প্রক্রিয়াটি ছিল ‘ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল’ ধাঁচের, যেখানে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ আইন উভয় ক্ষেত্রেই দ্বিচারিতা করা হয়েছে। মাত্র ২০টি অভিযোগের বিপরীতে প্রতিরক্ষার পক্ষে মাত্র ৪ জন সাক্ষী উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়। এ সময় পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭১ সালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সহপাঠী ছিলেন— মুনীব আরজমন্দ খান, অ্যাম্বার হারুন সায়গল, ইসহাক খান খাকওয়ানি এবং রিয়াজ আহমেদ নুন। তারা প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির হতে চাইলে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

পরিবার জানায়, বিচার চলাকালে একজন বিচারপতি শামীম হাসনাইন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি লিখে জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৯৭১ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন। এ ছাড়া ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি’তে ফাঁস হওয়া অডিওতে শোনা যায়, রায় ঘোষণার আগেই তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ও পদোন্নতির স্বার্থে রায়ের খসড়া প্রস্তুত হচ্ছিল। আইন মন্ত্রণালয়ে আগাম রায় পৌঁছে যাওয়ার বিষয়টিও পরিবারের কাছে সরকারি হস্তক্ষেপের প্রমাণ।

সবশেষে পরিবার দাবি করেছে, তাদের হাতে একটি গোপন ‘সাইফার বার্তা’ রয়েছে, যা তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের সব দূতাবাস, হাইকমিশন ও কনস্যুলেটে পাঠিয়েছিলেন। বার্তায় নির্দেশ ছিল, বিচারকালীন সময় এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্ত পর্যন্তও চার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীকে ভিসা না দেওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে শিগগিরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হবে— কে এই সাইফার বার্তা প্রস্তুত করেছিলেন এবং বাবার মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য গোপন বার্তা কারা প্রেরণ করেছিলেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার বলছে, সুবিচার ব্যাহত হওয়ার অকাট্য প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করে তারা মামলাটি পুনরায় চালু করবেন।

একান্তে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে হুম্মাম চৌধুরী ও সাংবাদিকবৃন্দ।