অবৈধ ফ্যাক্টরি-চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের নগ্ন খেলা! ২য় পর্ব

9

আইন উপেক্ষা করে চলছে “জবা সেনিটারী / মুহিত সেনিটারী”  অনুসন্ধানে সব তথ্যের সত্যতা; প্রতিবেদন বন্ধে সাংবাদিককে হুমকি।

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি, জহিরুল ইসলামের বিশেষ প্রতিবেদন: নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কোটাখোল ইউনিয়নের মাইগ্রাম–কলাগাছি এলাকায় সরকারি জমি দখল করে এবং কোনো ধরনের লাইসেন্স ছাড়াই “জবা সেনিটারী” নামে ফ্যাক্টরি পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে মোঃ খোকন শেখের বিরুদ্ধে। উক্ত অভিযোগের তদন্তে গেলে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। পাওয়া যায় মুহিত সেনিটারী নামে আরো একটি ফ্যাক্টরি যার মালিক মুহিত শেখ চাপাইনঘাট বাবুডাঙ্গা, নড়াগাতি থানা, নড়াইল।

সরকারি নিয়ম ও করব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাক্টরিটি চালু রয়েছে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, অনুমোদনবিহীন কিছু পত্রিকা ও ইউটিউব চ্যানেলের কর্মীরা এই কাজে সহযোগিতা করছে।

অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য:
ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানে গেলে cns24news-এর প্রতিবেদক জহির সরেজমিনে সব অভিযোগের সত্যতা পান। তবে, প্রতিবেদন তৈরিতে বাধা দেন স্থানীয়ভাবে সাংবাদিক পরিচয়ধারী মোহাম্মদ আজিজুল বিশ্বাস। অভিযোগ রয়েছে, তিনি E-TV ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করে থাকেন এবং উক্ত ফ্যাক্টরি মালিকরা তাকে নিয়মিত অর্থ প্রদান করছেন।

সেনিটারী ফ্যাক্টরি পরিচালনা নীতিমালা ২০১৩” এবং বিদ্যমান বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত) অনুযায়ী—
১. ট্রেড লাইসেন্স
২. পরিবেশ ছাড়পত্র
৩. ফায়ার লাইসেন্স
৪. কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন
৫. জমির দলিল বা বৈধ ভাড়ার চুক্তি
এসব নথি থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু স্থানীয় সূত্র জানায়, “জবা সেনিটারী/মুহিত সেনিটারী”র কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই।

সচেতন মহলের দাবি
স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযানে নেমে অবৈধ ফ্যাক্টরিটি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন “আইন অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাক্টরি চালানো হচ্ছে। নিম্ন মানের ইটের খোয়া ও রডের পরিবর্তে দেয়া হয় জিআই তার, তাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই ধরনের অবৈধ কার্যক্রম আরও বাড়বে।”

“ঘটনার সত্যতা মিলেছে, কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশে বাধা ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে এই প্রতিবেদককে।”