নারী নেতা আসছে উত্তর কোরিয়ায়? কিম জং উনের মেয়েকে ঘিরে বাড়ছে আলোচনার তীব্রতা

0
273
ছবি- সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার রুদ্ধদ্বার রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত মিলছে। সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের একমাত্র প্রকাশ্য সন্তান কিম জু-এ-কে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিস্তর আলোচনা। মাত্র ১২ বছর বয়সেই রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে তার উপস্থিতি—বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের নির্দেশক।

২০২২ সালের শেষ দিকে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় কিম জু-এ-কে দেখা যায়। “প্রিয় কন্যা” নামে পরিচিত এই কিশোরীকে এরপর একের পর এক সামরিক কুচকাওয়াজ, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আয়োজনে কিম জং উনের পাশে দেখা যাচ্ছে।

কিম জু , ছবি- সংগৃহীত

সাম্প্রতিক চীন সফর আরও জোরালো করেছে সম্ভাবনার ইঙ্গিত। উত্তর কোরিয়ার ঐতিহাসিক মিত্র চীনের সঙ্গে এমন এক সফরে কিম জু-এ-কে নিয়ে যাওয়া কেবল প্রতীকী নয়, বরং একটি স্পষ্ট বার্তা—বিশ্বাস করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সিউলের রাজনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মত, এটি কিম পরিবারের পুরনো কৌশল। কিম জং ইল যেমন তার ছেলে কিম জং উনকে চীনের সামনে পরিচয় করিয়েছিলেন এবার কিম জং উনও হয়তো একই পথে হাঁটছেন।

বিশ্লেষক চং সিয়ং চ্যাং মন্তব্য করেছেন, “জু-এ এখন শুধু বাবার সঙ্গী নয়, বরং কিম পরিবারের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী হিসেবে বিশ্বমঞ্চে পরিচিত হচ্ছেন। বেইজিং রেলওয়ে স্টেশনে তার উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করে।”

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাও ২০২৪ সালে নিশ্চিত করে যে কিম জু-এ-কে উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। যদিও উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনীতি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা কঠিন, তবে এই কিশোরী মেয়েকে সামনে এনে কিম জং উন প্রথা ভাঙার দিকেই এগোচ্ছেন—এমনটাই মত আন্তর্জাতিক মহলের।

উত্তর কোরিয়ায় এখনো পর্যন্ত কোনো নারী সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আসেননি। ফলে কিম জু-এ যদি সত্যিই ভবিষ্যতের নেতা হন, তা হলে তা হবে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা।