রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ ও দেশের সাধারণ মানুষ মনে করে ডাকসু – জাকসু নির্বাচন ছোটখাটো অনিয়ম ছাড়া অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহের মধ্যে অংশগ্রহণ ও বিজয় মিছিল পরিহার করার রীতি, সাম্প্রতিক স্মৃতিতে একটি অনন্য ঘটনা তাই এটিকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচন হিসাবে সর্বজনগৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গ চলে আসে, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট বা ইউনাইটেড স্টুডেন্ট এলায়েন্স এর ধারাবাহিকতা যদি সমাজ জীবন ও রাজনীতিতে আগামী দিনে চলতে থাকে তবে বিএনপির রাজনৈতিতে ধস নামা অনিবার্য ।
অতীত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ১৯৯০ সালের ৬ই জুনের ডাকসু নির্বাচনে জয়ী বিএনপির ছাত্রদলের ভিপি জিএস আমানউল্লাহ খায়রুল প্যানেলের বিজয় পরবর্তীতে রাজনৈতিক ভাবধারা অনেক প্রতিবন্ধকতার মাঝে ১৯৯১ সালের ২৭ শে ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্তিধর আওয়ামী লীগ জোটকে পরাজিত করে খালেদা জিয়া কে প্রধানমন্ত্রী আসনে বসাতে সমর্থ হয়েছিল।
খালেদা একদশক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতাসীন ছিলেন। সদ্য সমাপ্ত ডাকসু ও জাকসুর নির্বাচনী ঐক্য ধারায় যদি ভাংগন সৃষ্টি না হয়ে ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত যদি এই ভাবধারা টিকে থাকে, তবে জামায়াতের ব্যাকিং এ গঠিত রাজনৈতিক এয়ারলাইন্সের সরকার গঠনে সম্ভাবনা বিদ্যমান।
আর যদি ছাত্রদের বর্তমান ইউনাইটেড স্টুডেন্ট এলায়েন্স বা ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের এন সি পি অংশে জামাতের আদর্শ পরিপন্থী জাতীয়তা ভাবধারার যে অংশটি আছে, সেটি পৃথক ভাবে জেগে উঠে তবে আশা সফল নাও হতে পারে।
ইতিমধ্যে এনসিপির হালকা নীরবতা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কে ভাবিয়ে তুলেছে। তারা যদি জুলাই সনদ নিয়ে বা পিয়ার পদ্ধতি বা সংস্কার পদ্ধতি অথবা তাদের চাওয়া সংবিধান সংস্কার, ক্ষমতা বিভাজন, প্রগতিশীল নীতি, দুর্নীতিমুক্ত শাসন এবং তারা স্পষ্টভাবে বলেন তারা ধর্মান্ধতা বা ধর্মীয় জবরদস্তি–মূলক দৃষ্টিভঙ্গীর বিরোধী। এসব প্রশ্ন যদি দুরত্ব সৃষ্টি করে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্নরুপ ধারণ করতে পারে।
লেখক-
এডভোকেট সূপ্রীম কোর্ট, কলামিস্ট, সাবেক কনসালটেন্ট এডিবি ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ।








