

প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির মুল স্তম্ভ বা পিলার। প্রবাসীদেরকে অনেক ভাগে ভাগ করা যায়, আমি আলোচনার সুবিধার্থে প্রধানত দুুই ভাগ করলাম । একভাগ যারা মধ্যপ্রাচ্যে বা দূরপ্রাচ্যে শ্রম বিক্রি করেন, অন্যভাগ ইউরোপ আমেরিকার মত পশ্চিমা দেশে একাজটি করেন ।
প্রথম ভাগ দেশের তৃণমূল পর্যায়ের অতি সাধারন খেটে-খাওয়া পরিবার থেকে আসা । যারা জন্ম থেকে অনুভূতিপ্রবণ নিরীহ মানুষ। যারা মরুভূমির দেশে কঠোর পরিশ্রম করে দেশ এবং পরিবারের সুখের জন্য সব সময় পাগল প্রায় থাকেন –শুধু স্বপ্ন দেখে অর্থ উপার্জন করে দেশে গিয়ে বাবাকে প্রখর রৌদ্রে আর পরিশ্রম করতে দিবে না, মা’কেও অমানুষিক কষ্ট করতে দিবে না। ছোট ভাইবোন লেখাপড়া করে মা বারার মমতায় মানুষ হয়ে আগলে রাখবে সংসার । আর যারা বিবাহিত তারা স্ত্রীর মনবাসনা পূরণে বিভোর থাকেন। পাশাপাশি রেখে আসা সমাজ নিয়ে কতনা ভাবেন, কি করা যায়?? চিন্তা করেন।
উদাহরণ দিতে চাই ; একজন কৃষক যখন খেতে পরিশ্রম করে সেও স্বপ্ন দেখে ফসলটা তুলতে পারলে হাটে বিক্রি করে সংসারের স্বপ্ন পূরনে কত কিছুই না করবে। কৃষক যখন খেতের কাজ শেষে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফিরে আসে, তখন মা, স্ত্রী এবং সন্তানরা এই লোকটিকে কি করে পরিচর্যা করবে এ নিয়ে ব্যাকুল থাকে। ঘরে ফিরে কৃষক পরিবারের পরিচর্যা পেয়ে ক্লান্তি, শরীরের ঘাম সব মুছে যায়। এটি প্রকৃতির নিয়ম।
তেমনি প্রবাসীরা আশাকরে দেশে পথে সে ঘরে ফেরার আনন্দ বিভোর থাকে। তার সকল ক্লান্তি কষ্ট তলিয়ে যাবে দেশের অপেক্ষমান সংশ্লিষ্ট মানুযের আচরণ আর ঘরের মানুষের হাসি মুখ দেখে।
কিন্তু অতি দু:খ ও পরিতাপের বিষয় তারা বিমান থেকে যখন নামে মোকাবেলা করে এক কঠিন আচরণ যা তারা কল্পনা করে নাই। অতপর পদে পদে একের পর চলতে থাকে অসুভ আচরণ। ফলে আনন্দ ও সকল স্বপ্ন মুহূর্তে নিঃশেষ হয়ে যায়।
পরে বাড়ী পর্যন্ত পৌঁছাতে স্বপ্ন একশবারে শুন্যের কোঠায় চলে যায়।
ওদের কষ্ট লাগবে সরকার যে প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় সৃষ্টি করেছে, যার কর্মকর্তা কর্মচারীগন প্রবাসীদের হৃদয় বা অন্তরের কষ্ট কি কিছুই বুঝে না। অন্যদিকে সমাজ সেবা মন্তনালয় বা দপ্তরের এই বিষয়টি নিয়ে কোন মাথা ব্যথা আছে বলে দৃশ্যমান হয় না।
সরকারের বিনা বাজেটে একটি প্রতিকারের কথা বলতে চাই। যারা প্রবাস করে দেশে ফিরে, তারা কি ধরনের সেবা পেলে উপকৃত হবে তাদেরটা প্রবাস করে আসা তাদের সাথীরা বুঝে ভাল, সরকারি আমলাদের চেয়ে। তাদের মধ্যে প্রবাস জীবন সম্পর্কে কঠিন বাস্তবতায় অভিজ্ঞ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, তাদের বয়সের সীমা ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিল করে, প্রবাসী মন্ত্রনালয়ে বা অধিদপ্তরে নিয়োগ দিলে, তাদের সাথী রিমিটেন্স প্রেরণকারী প্রবাসীরা খুশী হবে। যেহেতু তাদের দুঃখ কষ্ট, স্বপ্ন এবং আশাভরসা ও প্রবাস জীবন সম্পর্কে অভিজ্ঞ এই মানুষ গুলো বেশী জানে। তাই তাদেরকে দেশে অপেক্ষামান রাখা হয়েছে, তাদের অনুজ বা ছোট ভাইবোনদের বরন করতে। (অসমাপ্ত)
