জাতীয় ঐকমত্য আলোচনা দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করেছে

94
ছবি- সংগৃহীত

গোলাম রাজীব প্রধান প্রতিবেদকঃ দুই দিনের বিরতির পর আজ রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু হয়েছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে আলোচনা শুরু হয়। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক . আলী রীয়াজ। আলোচনার আগের ধাপের অসমাপ্ত বিষয়গুলো চূড়ান্ত করতেই আজকের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। পুরো অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশননিউজ (বিটিভি নিউজ)

কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুঈদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

গত ১৭ জুনের আলোচনা পর্বে জামায়াতে ইসলামি অনুপস্থিত থাকলেও পরে অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধে আলোচনায় অংশ নেয় দলটি।

সংলাপে এখনো বেশ কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রস্তাব হিসেবে এনসিসি গঠনের বিষয়টি উঠলেও তা নিয়েও ঐকমত্য হয়নি।

গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত চার দিনের সংলাপে এই মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিএনপি সমমনা কয়েকটি দল একদিকে অবস্থান নিয়েছে, যাদের সঙ্গে রয়েছে সিপিবি বাসদ। অপরদিকে জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি অন্যান্য দল ভিন্নমত পোষণ করছে। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র হিসেবে পরিচিত গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি জেএসডিও ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে।

সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনে ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টনের বিষয়েও মতভেদ রয়েছে। বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা প্রস্তাবের বিপক্ষে, তাদের অবস্থান একই আছে এনডিএম, এলডিপি, লেবার পার্টি বিভিন্ন জোটের সঙ্গে।

তবে একটি ক্ষেত্রে, অর্থাৎ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ শিথিলের বিষয়ে সীমিত পরিসরে একমত হয়েছে বেশিরভাগ দল। তবে বিষয়েও ভিন্ন মত রয়ে গেছেজামায়াত চায় অর্থবিল আস্থা প্রস্তাবের বাইরেও এমপিদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার সুযোগ না থাকুক, আর বিএনপি চায় এমনকি যুদ্ধাবস্থাতেও এমপিদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার অধিকার না থাকুক।

কমিশন ধাপের আলোচনার পরঐকমত্যশব্দের ব্যাখা স্পষ্ট করতে একটি পরিপত্র বা বিবৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে। সূত্রঃ ইউএনবি