কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ দাউদকান্দি উপজেলার সুন্দলপুর ১ নম্বর মডেল ইউনিয়নের কসাই সুমন সম্প্রতি চোরাই, মরা গরু এবং গাভী গরু জবাই করে পাইকারি বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। গতকাল রাতে এক মরা গরু জবাই করে পাইকারি বিক্রির সময় স্থানীয় পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে তাকে গ্রেফতার করার পর, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফ ভূঁইয়া পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করে তাকে পুলিশের হাত থেকে ছুটিয়ে নিয়ে যান।
এই চোরাই গরু এবং মরা গরু বিক্রি সংক্রান্ত ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে সুন্দলপুর বাজারে চলছিল। স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, সুমন কসাই চোরা ও মরা গরুর ব্যবসা চালিয়ে আসছিল, সেখান থেকে অনেক ভোক্তা অজান্তেই এই মরা গরুর গোশত কিনে খাচ্ছিলেন।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি সুন্দলপুর বাজারের জনগণ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেন, “এ ধরনের চোরাই ব্যবসা বন্ধ করতে এবং জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।”
সুন্দলপুরের সাধারণ জনগণও এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, “কসাই সুমন কখনো মরা গরু, কখনো চোরাই গরু এবং কখনো গাভী গরু জবাই করে আমাদের খাবারের মধ্যে এই সব অস্বাস্থ্যকর এবং বিপজ্জনক গোশত ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আমরা সবার কাছে অনুরোধ করছি, কেউ যেন তার কাছ থেকে গরুর গোশত কিনে না খান।”
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের দাবি, সুমন কসাইসহ এই ধরনের চোরাই গরু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, যেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।