নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) প্রাঙ্গণে পেশাজীবীদের এক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে নির্বাচন বিলম্বিত করার একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা চলছে, যা কয়েকটি পক্ষের লাভের উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। তবে আমরা আশা করি সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
ডা. জাহিদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে সামনে রেখে যে অগ্রগতি করছেন, তা থেকে ধারণা করা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হতে পারে।”
পুরান ঢাকায় একজন ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো অপরাধ বা সহিংসতাকে সমর্থন করে না।
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি মহাসচিব স্পষ্টভাবে বলেছেন অপরাধের কোনো দলীয় রং নেই। অপরাধ সবসময়ই অপরাধ। এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা অনুচিত।”
তারেক রহমানকে নিয়ে কটূ মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দেশের জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়। বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হতে চায় না।”
তিনি রাজনৈতিক কর্মীদের ধৈর্য ধরতে, সত্য বলার এবং দ্বৈত আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার ‘বিএনপিকে লাল কার্ড’ দেখানোর মন্তব্য প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেন, “আমি সরাসরি প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না, তবে এমন মন্তব্য রাজনৈতিক বোঝাপড়ার ঘাটতির ফল। জনগণই ঠিক করবে কারা লাল কার্ড পাবে আর কারা সবুজ সংকেত পাবে।”
ঝালকাঠির নাগরিক পার্টির এক নেতার বক্তব্য ‘বিএনপি মুজিববাদের রক্ষক হয়ে উঠছে’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আসলে কারা কাকে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করছে, তা জনগণ ভালোভাবেই দেখছে।”